চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষদের মধ্যে অনেকেই নিজের সঙ্গিনীকে শারীরিকভাবে তৃপ্ত করতে পারার অক্ষমতায় ভোগেন।
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে পুরুষের লুপ্ত দৈহিক শক্তি পুনরুদ্ধারের উপায় হল টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (টিআরটি) নামের হরমোন চিকিৎসা। কিন্তু এই চিকিৎসা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তুলনামূলকভাবে পুরুষের দৈহিক শক্তি অটুট রাখার কিছু সহজ ঘরোয়া কৌশল দিতে পারে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র। আয়ুর্বেদিক রিসার্চ অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দেওয়া হয়েছে এমনকিছু খাবারের কথা যেগুলির নিয়মিত সেবন প্রাকৃতিক উপায়ে পুরুষের দৈহিক শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। কী ধরনের খাবার সেগুলি? আসুন, জেনে নিই—
১. আমলকি:
কাঁচা আমলকিতে থাকে ভিটামিন সি, আয়রন এবং জিংক। এগুলো পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই বিছানায় বেশিক্ষণ ভালবাসার শক্তিও জোগায়। তাছাড়া দৈহিক চাহিদা বৃদ্ধিতেও আমলকি অদ্বিতীয়।
২. শুকনো ফল:
বাদাম, আখরোট, কিসমিস, কিংবা পেস্তার মতো শুকনো ফল শুধু যে আপনার স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতি সাধন করে তা-ই নয়, এর ফলে শরীরে রক্ত আর কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। পরিণামে পুরুষদের মধ্যে বেড়ে যায় দৈহিক চাহিদা এবং ক্ষমতা।
৩. ভিটামিন ডি:
তেলওয়ালা মাছ, চিজ বা ডিম-এর মতো খাবারে ভিটামিন ডি থাকে প্রচুর পরিমাণে। ভিটামিন ডি শরীরে টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. বাদাম:
বাদামে থাকে আর্জিনিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। পরিণামে যৌন ইচ্ছা এবং ইরেকশন বাড়ে পুরুষ শরীরে।
৫. ডিম:
দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে এক অসাধারণ খাবার ডিম। প্রতিদিন সকালে, না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ করে খান। এতে দৈহিক দুর্বলতার সমাধান হবে।
৬. মধু:
দৈহিক দুর্বলতার সমাধানে মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।
৭. রসুন:
দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই দৈহিক উদ্দীপনা বাড়াতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।